আনলক ওয়ানের প্রথম দিনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ পাত্র পাত্রী স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে

1st June 2020 হুগলী
আনলক ওয়ানের প্রথম দিনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ পাত্র পাত্রী স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  করোনা আবহে প্রেমের আবহে ছেদ নেই । বেশ ঘটা করেই প্রেম এর যাতায়াত । চতুর্থ পর্বের লকডাউন শেষে আনলক ওয়ানের প্রথম দিনেই গাঁটছড়া বাঁধলেন শ্রীরামপুরের চাতরার অনিমেষ ও পৌলমি । আর পাঁচটা বিবাহের অনুষ্ঠানের মত না হলেও নতুনত্ব বইকি ! লোকজনের খুব একটা হুড়োহুড়ি নেই । বাড়ি ভর্তি লোকজনের আনাগোনা নেই । মুখে মুখে কথা হচ্ছে অনেকটাই দূর থেকে মাস্ক এর আড়াল দিয়ে । ভয় ভয় পরিবেশে নতুন জীবনে প্রবেশের অভিজ্ঞতা । যা হয়তো আগামী প্রজন্মের কাছে গল্প বলার মত বিষয় হয়ে থাকলো । লকডাউনের আগে ঠিক হয়ে গিয়েছিল  বিয়ের দিনক্ষন। সাত দিন পরে শুরু হয় লকডাউন। যখন করোনা ভয়ে কাবু গোটা  বিশ্ব। আর সেই  সময় করোনাকে  ভালবাসার কাছে  হার মানতে হল। তাই করোনাকে পিছনে ফেলে নতুন জীবন সঙ্গীকে  নিয়ে পথ চলা শুরু করলেন  হুগলীর শ্রীরামপুর চাতরার বাসিন্দা অনিমেষ মাইতি । সোমবার রাতে  লকডাউনের মধ্যে মাস্ক  পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিবাহ অনুষ্ঠান সারলেন। নতুন দাম্পত্যজীবন শুরু করলেন  অনিমেষ মাইতি ও পৌলমি দাস।  বরযাত্রী পাঁচজন ও কন্যা যাত্রী ১৫ জন  বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  প্রত্যেকেরই মুখে মাস্ক পরে বিবাহ অনুষ্ঠান দেখলেন। সবার শেষে চললো মিষ্টি মুখ।

 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।